জিয়াউর রহমানের জন্য রোহিঙ্গা সমস্যা: প্রধানমন্ত্রী
- জাতীয় - সরকার
- ১৪ নভেম্বর ২০১৯ - ৫ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ২১৫২৬
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।"
তিনি আজ একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "একটা বিষয় যদি আপনারা লক্ষ্য করেন '৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশে যে হত্যা, ক্যু এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয় এবং এর পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যাটাও সৃষ্টি হয় '৭৬-'৭৭ সালে। আর '৭৮ সালে এই রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হয়। এটাই বাস্তবতা। বর্তমান সরকার যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। আমরা এ ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি।"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "অতীত সরকারগুলো যা করেছিল, এদেরকে আমরা এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি এবং বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি।"
জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, "আমি একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের মাটি থেকে প্রতিবেশী কোন দেশে কেউ কোন রকমের দেশ বিরোধী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ দেওয়া হবেনা। কোন সন্ত্রাসীর স্থান বাংলার মাটিতে হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি। কিছু বিষয় আছে যা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, কিন্তু বাংলাদেশের মাটিকে আমরা কোন সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করতে দেব না।"
জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ...
সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত এবং চীনের ভূমিকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা আমাদের এই প্রতিবেশী দুইটি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি এবং এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছি।"
মিয়ানমারের সীমান্তে ঘেঁষে অবস্থিত ভারত-চীন সহ অন্যান্য দেশ যেমন লাওস এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গেও বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কারণ এই প্রতিটি দেশের সীমান্তেই মিয়ানমারের ছোট ছোট ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সমস্যা লেগে রয়েছে। কাজেই এই সমস্যাগুলোর যাতে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "চীন সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করার প্রেক্ষিতে তারা এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের কথা বলেন। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারে চীনের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, তারা বিষয়টি আলোচনা করেছেন এবং মিয়ানমারকে তারাও চাপ দিচ্ছেন। তাছাড়া, তার ভারত সফরকালে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।"
শেখ হাসিনা বলেন, "আমি প্রত্যেকের কাছ থেকেই ভাল সাড়া পেয়েছি এবং এই সমস্যাটির যে একটা সমাধান হওয়া উচিত এখন এটা সকলেই অনুধাবন করে। তবে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা হলো মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক সেটা রেখে এই রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে। কাজেই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।"
মন্তব্য